তোমরা আমাদের রুখবে কীভাবে বলো! আমরা তো আমাদের ভাইদের জন্য জীবন বিলাতে শিখেছি... 

তোমরা আমাদের রুখবে কীভাবে বলো!
আমরা তো আমাদের ভাইদের জন্য জীবন বিলাতে শিখেছি... 

২০০৯ সালের আজকের এই দিনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সেক্রেটারি শহীদ শরীফুজ্জামান নোমানী ভাই মতিহারের সবুজ চত্বরে রক্ত দিয়ে ভ্রাতৃত্বের অমর আলপনা এঁকেছিলেন, সীসাঢালা প্রাচীরের বন্ধন কাকে বলে; সেদিন আমাদের শিখিয়েছিলেন তিনি।

১১ মার্চ ২০০৯ সাল। শহীদ দিবস উপলক্ষ্যে ইসলামী ছাত্রশিবির রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আয়োজন করে শান্তিপূর্ণ র‍্যালি। কিন্তু র‌্যালি-পরবর্তী সমাবেশে হঠাৎ অযাচিতভাবে হামলা করে বসে ছাত্রলীগ। বিনষ্ট করে ক্যাম্পাসের স্বাভাবিক পরিবেশ। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অন্যায়ভাবে ছাত্রশিবিরের ওপর দোষ চাপিয়ে শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।

পরিকল্পিত হামলা ও আটকের পর ক্যাম্পাস দখলের জন্য ১৩ মার্চ হলসমূহে সশস্ত্র আক্রমণ চালায় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা হলে তৎকালীন শাখা শিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ হোসাইনসহ ১১ জন ভাইকে অবরুদ্ধ করে হত্যার ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে নরাধমেরা। কিন্তু ওরা জানে না আমাদের ইতিহাস। আমরা তো মৃত্যুর মুখেও সাথী ভাইয়ের জন্য পানির পেয়ালা এগিয়ে দিয়ে শাহাদাতের নজরনা পেশকারীদের উত্তরসূরী। দ্বীনি ভাইকে হত্যা করা হবে; এমন সংবাদ শুনে দ্বীনের সাথীরা বসে থাকতে পারে না, বসে থাকেনি কখনও। 

শেরে বাংলা হলে আটক ভাইদের উদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়লেন নোমানী ভাই। নিজের জীবনের বিনিময়ে হায়েনার কবল থেকে মুক্ত করলেন দ্বীনি আন্দোলনের প্রিয় সাথীদের। কিন্তু ফিরলেন না তিনি নিজেই। তাঁর মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করল খুনীরা। নোমানী ভাই পান করলেন শাহাদাতের অমীয় সূধা। 

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা শহীদ শরীফুজ্জামান নোমানী ভাইয়ের শাহাদাৎ কবুল করুন, তাঁকে আসীন করুন জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকামে। আমীন।।

মন্তব্য